নারী শিক্ষকের পদোন্নতির জন্য বোর্ড গঠন ববি’তে চাপা ক্ষোভ, ফের আন্দোলনের শঙ্কা Latest Update News of Bangladesh

সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৪৫ অপরাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি :
Latest Update Bangla News 24/7 আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ভয়েস অব বরিশালকে জানাতে ই-মেইল করুন- inbox.voiceofbarishal@gmail.com অথবা hmhalelbsl@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।*** প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে!! বরিশাল বিভাগের সমস্ত জেলা,উপজেলা,বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ড ও ক্যাম্পাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! ফোন: ০১৭৬৩৬৫৩২৮৩
সংবাদ শিরোনাম:
শেবাচিম হাসপাতালে পরিচালকের দায়িত্ব নিলেন ব্রিঃজেঃ একেএম মশিউল মুনীর ‘সংস্কারের পাশাপাশি অবাধ নির্বাচনের ব্যবস্থা করা জরুরি’ : তারেক রহমান পিরোজপুরে ২৪ বছরেও সম্পন্ন হয়নি আয়রন ব্রিজ নির্মাণ কাজ, জনদূর্ভোগ চরমে বরিশালে তথ্য মেলা: দুর্নীতি প্রতিরোধে জোরালো পদক্ষেপ মমতার বাঁধায় বন্ধ হতে পারে বাংলাদেশে আলু রপ্তানি ! কাউখালী উপজেলা জামায়াত ইসলামীর কমিটি গঠন বিএনপির শোক মিছিলে হামলা: রিমান্ডে হাসানাতপুত্র মঈন আব্দুল্লাহ খুনি হাসিনার পুনর্বাসন, জীবন দিয়ে প্রতিরোধ করবে শহীদ ফাউন্ডেশন: সারজিস আলম নতুন কমিশনের দায়িত্ব ভোটাধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা: রাষ্ট্রচিন্তা পরিষদ মহিপুরে নসিমনের চাপায় প্রান গেলো গৃহবধূর




নারী শিক্ষকের পদোন্নতির জন্য বোর্ড গঠন ববি’তে চাপা ক্ষোভ, ফের আন্দোলনের শঙ্কা

নারী শিক্ষকের পদোন্নতির জন্য বোর্ড গঠন ববি’তে চাপা ক্ষোভ, ফের আন্দোলনের শঙ্কা

নারী শিক্ষকের পদোন্নতির জন্য বোর্ড গঠন ববি’তে চাপা ক্ষোভ, ফের আন্দোলনের শঙ্কা




এম.কে. রানা ॥  বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্যে পদোন্নতি নিয়ে তীব্র চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। অর্ধশতাধিকেরও বেশি শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের পদোন্নতি ব্যবস্থা গ্রহণ না করে শুধুমাত্র একজন নারী শিক্ষককে বিশেষ সুবিধা দেওয়ার জন্য গোপনে পদোন্নতির বোর্ডের ব্যবস্থা করার গুঞ্জনে এ ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। আর এ থেকে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ফের কঠোর আন্দোলনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। তবে বিষয়টি নাকচ করে দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছেন পদোন্নতি কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। উল্লেখ্য গত বছর পদোন্নতির ক্ষেত্রে বৈষম্য, নিয়োগে দুর্নীতি ও খারাপ আচরণ বন্ধসহ আট দফা দাবিতে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) উপাচার্যের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

 

 

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সাবেক ভিসি বিরোধী আন্দোলনের পর, বর্তমান ভিসি ড. মোঃ ছাদেকুল আরেফীন যোগদান করায় সকল শিক্ষক, কর্মকর্তা এবং কর্মচারীরা আশাবাদী ছিলেন যে নতুন প্রশাসন হয়তো আগের সকল সমস্যা সমাধানে আগ্রহী হবেন এবং অতিদ্রুত নিরপেক্ষভাবে পদোন্নতির বোর্ড বসাবেন। কিন্তু বর্তমান উপাচার্য যোগদানের প্রায় এক বছর হয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত তিনি কোন দৃশ্যমান অগ্রগতির পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারেননি। বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিমালা অনুযায়ী একজন শিক্ষক প্রভাষক থেকে সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পাওয়ার জন্য তিন বছর সক্রিয় চাকরিতে থাকা প্রয়োজন। কিন্তু অর্ধশতাধিক শিক্ষক তিন বছরের বেশি মেয়াদ উত্তীর্ণ করেছেন যাদের মধ্যে কেউ কেউ প্রায় চার বছর এবং পাঁচ বছর চাকুরীকাল অতিবাহিত করলেও তাদের পদোন্নতির ব্যবস্থা এখনো গ্রহণ করা হয়নি। একইভাবে, বেশ কয়েকজন কর্মকর্তাকে তাদের যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও পদোন্নতি দেয়ার বিষয়ে বর্তমান প্রশাসন একেবারেই উদাসীন। প্রশাসনের দায়িত্বপূর্ণ অবস্থান থেকে জানানো হয়, করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে প্রশাসনিক কাজ সময়মত করা সম্ভব হচ্ছে না। যদিও এ বিষয়টি শিক্ষক, কর্মকর্তা এবং কর্মচারীরা মেনে নিতে রাজি নন।

 

তাদের দাবী, সারাদেশের সকল সরকারী এবং বেসরকারী প্রতিষ্ঠান করোনাভাইরাস পরিস্থিতির মধ্যেও নিয়োগ ও পদোন্নতি বোর্ড আয়োজন করছে সঠিক সময়ে। এমন পরিস্থিতে লোক প্রশাসন বিভাগের একজন নারী শিক্ষকের পদোন্নতির জন্য বোর্ড বসানোর খবর জানাজানি হলে পদোন্নতি বঞ্চিত সকলের ভিতরে উত্তাপ ও ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। অনেকেই মনে করেন এমন পরিস্থিতির উদ্ভব হওয়ার পিছনে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের অতিরিক্ত দায়িত্ব পাওয়া ইংরেজি বিভাগের চেয়ারম্যান ডঃ মুহাম্মদ মহসিন উদ্দিন অনেকাংশে দায়ী।

 

ভুক্তভোগীদের দাবী, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার এবং একমাত্র অধ্যাপক হওয়ার কারণে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় অধিকাংশ কমিটিতেই থাকেন এবং আইনের ভুল ব্যাখ্যা প্রদান করে বিভিন্ন শিক্ষক, কর্মকর্তা এবং কর্মচারীদের হয়রানি করেন। তার বিরুদ্ধে আরো অভিযোগ রয়েছে যে, সাবেক উপাচার্যের সময় তিনি গণসংযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের একজন নারী শিক্ষককে ১১ মাসের ব্যবধানে প্রভাষক থেকে সহকারী অধ্যাপক বানানোর জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল নিয়ম ভঙ্গ করে নতুন নিয়ম তৈরি করেন। সকল অভিযোগ অস্বীকার করে রেজিষ্টার ড. মুহাম্মদ মহসিন উদ্দিন জানান, ওই শিক্ষকের চাকরির মেয়াদ ২ বছর ৮ মাস হয়েছিল। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ১১ মাস হলেও অন্য একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠানে বাকী সময়টা কাজ করেছিলেন। গবেষনা প্রতিষ্ঠান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরি একই ধরা হয়ে থাকে। এর আগে ২ বছর ৪ মাস চাকরিকাল অতিক্রম করা আরো কয়েকজনকে পদোন্নতি দেয়া হয়েছিল জানিয়ে তিনি বলেন, ওই সময় ওই শিক্ষকের পদোন্নতি না দিলে তিনি কি জবাব দিতেন।

 

 

সংশ্লিষ্ট সূত্রে আরো জানা গেছে, দীর্ঘদিন যাবত বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের পদোন্নতি কার্যক্রম স্থগিত থাকলেও সম্প্রতি লোক প্রশাসন বিভাগের শুধুমাত্র এক নারী শিক্ষককে এই সুবিধা দিতে বোর্ড গঠন করেছেন কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি জানাজানি হলে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে পদোন্নতি বঞ্চিত বিভিন্ন বিভাগের অর্ধশতাধিক শিক্ষক/শিক্ষিকার মাঝে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন শিক্ষক বলেন, এমন একটি সংবাদ শুনেছি, কিন্তু প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ের ব্যক্তিবর্গ কেন এমন অন্যায় এবং পক্ষপাতমূলক কাজ করছেন এটা আমাদের কাছে কোনভাবেই বোধগম্য নয়। বিষয়টি উদ্বেগজনক এবং স্পষ্টত পদোন্নতি বঞ্চিত সকল শিক্ষকদের সাথে চরম প্রহসন ছাড়া কিছুই নয় বলে মনে করেন তিনি। যদি এটা বাস্তবায়ন করা হয় তাহলে এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ করা হবে। তারা প্রয়োজনে ফের আন্দোলনে নামবেন বলেও জানান।

 

 

এক শিক্ষকের পদোন্নতির জন্য বোর্ড গঠন করার কথা স্বীকার করে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মোঃ ছাদেকুল আরেফীন বলেন, অনেকের পদোন্নতি আটকে রয়েছে। করোনার কারণে এতদিন তার কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব হয়নি। বিভাগ ভিত্তিক পৃথক বোর্ড গঠন করে পদোন্নতির কার্যক্রম চালানো হবে। এখন যে বিভাগের জন্য বোর্ড গঠন করা হয়েছে সেখানে আবেদনকারী শিক্ষকই একজন। পর্যায়ক্রমে অন্যান্য বিভাগের শিক্ষকদের পদোন্নতি কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *










Facebook

© ভয়েস অব বরিশাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed BY: AMS IT BD